মো: জাহিদুল ইসলাম ( ফ্রিল্যান্সিং টেকনিক্যাল রাইটার )
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI (Artificial Intelligence) আজকের সময়ের সবচেয়ে আলোচিত প্রযুক্তিগুলোর একটি। অনেকেই এটিকে ভবিষ্যতের বড় বন্ধু মনে করছেন, আবার কেউ কেউ একে মানবজাতির সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখছেন। তবে বাস্তবতা হলো—AI একদিকে যেমন নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করছে, তেমনি কিছু ঝুঁকিও তৈরি করছে।
AI আমাদের জীবনে যে পরিবর্তন এনেছে তা চোখে পড়ার মতো। এখন আর কেবল সিনেমা বা গবেষণার বিষয় নয়, AI ব্যবহার হচ্ছে মোবাইল ফোনে, ব্যাংকে, অনলাইন সার্চে, এমনকি স্কুল-কলেজের শিক্ষায়ও। Chatbot, Voice Assistant, Recommendation System, Self-driving Car—সবকিছুতেই আজ AI-র ছোঁয়া।
বন্ধু হিসেবে AI আমাদের কাজ সহজ করছে। আগের যেসব কাজ করতে সময় বা মানুষ লাগত, এখন AI সেই কাজ মুহূর্তেই করে ফেলছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে রোগ শনাক্তকরণ, কৃষি খাতে ফসলের উৎপাদন পূর্বাভাস, ব্যবসায় কাস্টমার সার্ভিস—এসব জায়গায় AI আমাদের জন্য অনেক বড় সহায়ক।
তবে AI-এর কিছু চ্যালেঞ্জ বা ভয়ও রয়েছে। অনেকেই শঙ্কিত, AI মানুষের কাজ কেড়ে নেবে। যেমন, কল সেন্টার, ডেটা এন্ট্রি, কনটেন্ট লেখা—এই সব কাজ AI দিয়ে করা সম্ভব হচ্ছে, ফলে অনেকেই চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে পড়ছেন। আবার, AI যদি ভুল সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তার প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। যেমন, স্বাস্থ্যসেবা বা আইনের ক্ষেত্রে ভুল তথ্য দিলে মানুষের জীবনও ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
সবচেয়ে বড় কথা হলো, AI কোনো নীতি বা নৈতিকতা বুঝে না। এটি যেভাবে শেখানো হয়, সেভাবেই কাজ করে। তাই যারা AI তৈরি করে, তাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। যেন তা মানুষের উপকারে আসে, ক্ষতির কারণ না হয়।
সবশেষে বলা যায়, AI নিজে ভালো বা খারাপ কিছু না—এটি নির্ভর করে আমরা এটি কীভাবে ব্যবহার করছি তার উপর। যদি আমরা সচেতনভাবে, সঠিক নিয়মে AI-কে ব্যবহার করি, তাহলে AI আমাদের বড় বন্ধু হয়ে উঠবে। আর যদি আমরা দায়িত্বহীন হই, তাহলে ভবিষ্যতে এটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ই-মেইলঃ- thedailyworldnewsoffice@gmail.com
© Design & Development By Ctg It Soft