শনিবার , ৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা English
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইটি বিশ্ব
  4. আইন-বিচার
  5. আন্তর্জাতিক
  6. ইসলাম
  7. ঈদুল ফিতর
  8. ক্রিকেট
  9. খেলা-ধুলা
  10. জাতীয়
  11. দুর্ঘটনা
  12. ফুটবল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. রাজনীতি

এক জনমে আর কত কষ্ট বাকি তোমার লামিশার বাবাকে ডিআইজি শিপার

প্রতিবেদক
ঢাকা ডেইলি ডেস্ক
মার্চ ৯, ২০২৪ ১:৩৩ অপরাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

রাজধানীর বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী লামিশা ইসলাম মারা গেছেন। লামিশা পুলিশ সদরদপ্তরে কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি মো. নাসিরুল ইসলামের মেয়ে।

ওর মেয়েরা খুবই মেধাবী। বড় মেয়ে সম্ভবত ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ফার্স্ট গার্ল ছিল। কলেজ শেষ করে সে বুয়েটে ভর্তি হয়েছিল।

নাসিরের জীবনে ছয় বছর আগের সেই রাত আবার ফিরে এলো। গতরাতে (২৯ ফেব্রুয়ারি) আগুন লাগার সময় বেইলি রোডের সেই রেস্তোরাঁয় ওর বুয়েট পড়ুয়া মেয়েটা ছিল। সে আর ফেরেনি, চলে গেছে জীবনের ওপারে।

বছর ছয়েক আগে স্ত্রী মরে যাওয়ার রাতে নাসিরের সেই চেহারার কথা স্পষ্ট মনে আছে আমার। এবার অবশ্য ওর সাথে দেখা হয়নি। মেয়ের মরদেহ নিয়ে ফরিদপুরের পথে আছে সে

মৃত্যুর আগে লামিশা তার বাবাকে ফোনকল করে বলেছিল- ‘বাবা আমি আটকা পড়েছি, আমাকে বাঁচাও।’ এই শেষ কথা। এরপর আর লামিশার সঙ্গে কথা বলা যায়নি। মেয়েকে আগুনের ছোবল থেকে বাঁচাতেও পারেননি নাসিরুল। মেয়ের আকুতির সামনে অসহায় বাবা মেয়েকে হারিয়ে স্তব্ধ হয়ে গেছেন বলে জানান লামিশার চাচা রফিকুল ইসলাম।

মেয়েকে হারিয়ে নাসিরুলের যে শোক তাতে একইভাবে মর্মাহত তার সহকর্মীরাও। এমনই একজন নাসিরুলের জ্যেষ্ঠ সহকর্মী পুলিশের ডিআইজি রুহুল আমিন শিপার। যিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নাসিরুলকে নিয়ে আবেগঘন একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেছেন।

‘অগ্নিপরীক্ষা’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে নাসিরুলের জীবনের কঠিন পথের নানা দিক তুলে ধরেছেন ডিআইজি শিপার। জানিয়েছেন, তিনিও নাসিরুলের সমব্যথী।

ওকে ফোন দিতে মন চাইছে না। তাই হোয়াটসঅ্যাপে শুধু নিচের মেসেজটা দিয়েছি- ‘নাসির, আমার অন্তরটা ছিঁড়ে যাচ্ছে। বাসায় বসে এখন কাঁদছি। এক জনমে আর কত কষ্ট বাকি তোমার?’

সর্বশেষ - জাতীয়