বুধবার , ৬ আগস্ট ২০২৫ | ২৬শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা English
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইটি বিশ্ব
  4. আইন-বিচার
  5. আন্তর্জাতিক
  6. ইসলাম
  7. ঈদুল ফিতর
  8. ক্রিকেট
  9. খেলা-ধুলা
  10. জাতীয়
  11. দুর্ঘটনা
  12. ফুটবল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. রাজনীতি

আবু সাঈদ হত্যা মামলার ৬ আসামি ট্রাইব্যুনালে, অভিযোগ গঠন আজ

প্রতিবেদক
The Daily World News
আগস্ট ৬, ২০২৫ ৫:২১ পূর্বাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

জাতীয় | 6th August, 2025 10:47 am

‎জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ আজ বুধবার (৬ আগস্ট)। এদিন ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।
‎এদিকে আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার গ্রেফতার থাকা ৬ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসা হয়েছে। তারা হলেন- এএসআই আমির হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ।

‎এর আগে গত ৩০ জুলাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য ৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
‎প্রসঙ্গত, গত ২২ জুলাই রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়-বেরোবির সাবেক ভিসি, রংপুরের সাবেক পুলিশ কমিশনারসহ ২৪ জনকে পলাতক ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২৷ এদিকে আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর মামলায় ৮জন ও লক্ষ্মীপুরের একটি মামলায় ৩ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

সর্বশেষ

সম্পূরক ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ
জাতীয় নির্বাচন: পুলিশের জন্য ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা ক্রয়ের পরিকল্পনা
সাংবাদিক তুহিন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে অন্যতম আসামি স্বাধীন: র‌্যাব
 ইসরায়েলের গাজা সিটি দখল পরিকল্পনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় আন্তর্জাতিক | 9th August, 2025 12:39 pm  ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। শুক্রবার এ ঘোষণা আসার একদিন আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো গাজা উপত্যকার সামরিক নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানান। ‘আলজাজিরা‘র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই পদক্ষেপে গাজার মানবিক বিপর্যয় আরও গভীর হবে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক মহল। জাতিসংঘের উদ্বেগ: জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি একে ‘বিপজ্জনক উত্তেজনা বৃদ্ধি’ আখ্যা দিয়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান ভলকার টুর্ক পরিকল্পনা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটি আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের পরিপন্থী এবং ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের পরিপন্থী। ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া: ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কার্যালয় পরিকল্পনাকে ‘সম্পূর্ণ অপরাধ’ বলে নিন্দা করেছে। তারা একে গণহত্যা, অনাহার ও অবরোধের ধারাবাহিকতা বলে মন্তব্য করেছে। হামাস সতর্ক করে বলেছে, এ সিদ্ধান্ত গাজায় আটক ইসরায়েলি বন্দিদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলবে। ইসলামিক জিহাদ একে ‘গণবিনাশ যুদ্ধের নতুন অধ্যায়’ বলে উল্লেখ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবস্থান: ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত ইইউ-ইসরায়েল সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েনও পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। যৌথ নিন্দা: অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ইতালি, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিবৃতিতে পরিকল্পনাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার একে ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ আখ্যা দিয়ে রক্তপাত বাড়াবে বলে সতর্ক করেছেন। জার্মানি, ফ্রান্স ও চীনের প্রতিক্রিয়া: জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ ঘোষণা দিয়েছেন, গাজায় ব্যবহৃত হতে পারে এমন কোনো সামরিক সরঞ্জাম ইসরায়েলে রপ্তানি করা হবে না। ফ্রান্স পরিকল্পনাকে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে। চীন গভীর উদ্বেগ জানিয়ে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। তুরস্ক, মিসর ও সৌদি আরবের প্রতিক্রিয়া: তুরস্ক বলেছে, এটি ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করার চেষ্টা। মিসর একে ‘গণবিনাশের যুদ্ধ’ আখ্যা দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে। সৌদি আরব এটিকে জাতিগত নির্মূলের অংশ বলে নিন্দা জানিয়েছে। ইরান, কাতার ও জর্ডানের অবস্থান: ইরান পরিকল্পনাকে গণহত্যার সুস্পষ্ট প্রমাণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। কাতার একে বিপজ্জনক উত্তেজনা বৃদ্ধির ইঙ্গিত বলে সতর্ক করেছে। জর্ডান বলেছে, এটি দুই-রাষ্ট্র সমাধানকে ধ্বংস করবে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার প্রতিক্রিয়া: ইউএই পরিকল্পনার ফলে ‘বিপর্যয়কর পরিণতি’ হবে বলে সতর্ক করেছে। ইন্দোনেশিয়া একে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানিয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, পরিকল্পনা ভুল এবং বন্দিদের জীবনের ঝুঁকি বাড়াবে। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়ং বলেছেন, এটি স্থায়ী উচ্ছেদের শামিল। পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ পরিকল্পনাকে বিপজ্জনক উত্তেজনা বৃদ্ধি হিসেবে বর্ণনা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। ইসরায়েলের অভ্যন্তরে প্রতিক্রিয়া: ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, আন্তর্জাতিক নিন্দা তাদের দৃঢ়তা নষ্ট করতে পারবে না। তবে বিরোধীদলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদ একে ‘বিপর্যয়কর সিদ্ধান্ত’ আখ্যা দিয়ে সামরিক পরামর্শ উপেক্ষার অভিযোগ তুলেছেন। মানবাধিকার সংস্থার প্রতিক্রিয়া: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড একে ‘চূড়ান্ত ঘৃণ্য ও ভয়ঙ্কর’ পরিকল্পনা বলেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, গাজায় সামরিক অভিযান সম্প্রসারণ মানে আরও ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ।

সর্বশেষ - অপরাধ