অর্থনীতি | ৩০ জনু , ২০২৫ ১০:৩০
আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পাট চাষের জন্য জমির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ০৫ লাখ হেক্টর। উক্ত জমিতে চাষাবাদের জন্য প্রয়োজন হবে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টন পাটবীজ। এ ছাড়াও বাংলাদেশে পাটের মোট উৎপাদন ১৫ লাখ মেট্রিক টন, পাটকাঠির মোট উৎপাদন ৩০ লাখ মেট্রিক টন এবং চারকোলের উৎপাদন ৬ লাখ মেট্রিক টন।
আজ সোমবার (৩০ জুন) বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) কৃষি উইং কর্তৃক আয়োজিত ‘বার্ষিক অভ্যন্তরীণ গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০২৫’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, পাট নিয়ে অনেক কিছু করার আছে, পাটের সম্ভাবনা কখনোই শেষ হবে না। কাঁচা পাট নিয়ে অন্যান্য দেশ কীভাবে কাজ করছে, সে বিষয়েও মার্কেট রিসার্চে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বদ্ধ চিন্তাধারা থেকে বের হয়ে বিজ্ঞানীদের বিশদভাবে কাজ করতে হবে। মার্কেট ও বাস্তবতার নিরিখে গবেষণা করতে হবে। আমাদের সীমাবদ্ধ জমিতে পাটের উৎপাদন আরও বাড়ানো সম্ভব, সে বিষয়েও কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সেক্টর এবং অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান একত্রিত হয়ে কাজ করলে পাটের গবেষণা আরও এগিয়ে যাবে। পাট শুধু অর্থকরী ফসল নয়, এটি বাংলাদেশের গর্ব, বাংলার পরিচিতির মাধ্যম। পৃথিবীর অন্য প্রান্তে কিউবাও বাংলাদেশ থেকে পাট আমদানি করে দুটি কারখানা স্থাপন করেছে। অনেক দেশ চাহিদা থাকা সত্ত্বেও পরিবেশগত কারণে পাট উৎপাদন করতে পারে না, সে দিক থেকে বাংলাদেশ পাটের জন্য আশীর্বাদপুষ্ট। প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাটের প্রযুক্তি দিয়েই পাটকে এগিয়ে নিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বিজেআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. নার্গিস আক্তার বলেন, পাট কেবল আমাদের সোনালি আঁশ নয়, এটি আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক সোনালি অধ্যায়। সূচনালগ্ন থেকে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট মোট ৫৭টি জাত, ২২৩টি কৃষি প্রযুক্তি এবং ৬৯টি শিল্প ও কারিগরি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। পাট কৃষিজাত পণ্য হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় চাষিরা কৃষিঋণের মতো পাটঋণ এবং পণ্য রপ্তানিতে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। সরকার থেকে ২০% নগদ প্রণোদনা পাচ্ছেন চারকোল রপ্তানিকারকরা। বাংলাদেশে প্রায় ৫০টি চারকোল কারখানা রয়েছে, যদিও বর্তমানে কিছু কারখানা বন্ধ রয়েছে।
ই-মেইলঃ- thedailyworldnewsoffice@gmail.com
© Design & Development By Ctg It Soft